পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগতির পাঁচটি বাইক।
পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগতির বাইকগুলো বাংলাদেশ এবং ভারতের সচরাচর দেখা যায় না। আমরা অনেকে আজ পর্যন্ত এই বাইকগুলো দেখতে পায়নি। এইসব বাইকগুলো এতই দ্রুত যে আকার এবং বুলেট ট্রেন গুলোকে ফেলে দিবে। এমন কি এগুলো যদি আপনার সামনে দিয়ে একবারও যায় তাহলে আপনি চোখে দেখতেও পারবেন না।
তো আমি আজকে পাঁচটি পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগতির বাইক নিয়ে আপনাদের সামনে কথা বলব। পাঁচটি বাইক সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা নেওয়ার জন্য পুরো কন্টেন্টটি ভালো করে পড়ুন।
KAWASAKI NINJA ZX14R
এটি জাপানের তৈরি একটি বাইক। জাপান মূলত মোবাইল তৈরির জন্য খুবই বিখ্যাত। দ্রুততম বাইকের কথা মনে পড়লে কাওয়াসাকি কোম্পানির কথায় সবার আগে মনে ভেসে ওঠ। এটি ১৪৪১ সিসির একটি গাড়ি এবং গাড়িতে মোট ছয়টি গিয়ার রয়েছে। গাড়িটির মাইলেজ হচ্ছে ১২ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। এ ভাই কে রয়েছে ১৯০ হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিন ।
আর এই সুপার বাইকটির সর্বোচ্চ গতি হচ্ছে ১৮৬ মায়ের প্রতি ঘন্টায় মোটামুটি ৩০০ কিলোমিটার। আর মজার ব্যাপারটি হচ্ছে একটি শূন্য থেকে একশ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে2.2/1সেকেন্ডে।বিহারী কে ছোটখাটো রকেটে বলা যায়। মূল্য মোটামুটি ২০ লক্ষ রুপি তবে বাংলাদেশ যদি আনতে চান তাহলে ব্যাট সহ মোটামুটি দুই থেকে তিন গুণ পড়ে যাবে।
SUZUKI HAYABUSA GSX 1300R
ভিডিও জাপানের তৈরি একটি সুপার বাইক। এটি পুরো পৃথিবীতে অনেক বিখ্যাত। আর এই বাড়ি একটি ভারতের সুপারস্টার সালমান খানের কাছে রয়েছে। বাস্তবে ভারতের এই গাড়িটির পরিচয় তখন থেকে যখন ধুম মুভিতে এ গাড়িটি ব্যবহার করা হয়েছিল। তখন থেকে সুজুকি হায়াবুসা ভারতের জনপ্রিয় হয়ে ওঠ।আর এই গাড়ি ডিজাইন যেমন সুন্দর তেমনি এর স্পিডে অনেক বেশি ।
আর এই গাড়িতে 1340cc ইঞ্জিন রয়েছে। গাড়িটি সর্বোচ্চ ১৮৬ মাইল বা ৩০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় ছুটতে পারে। আর মজার ব্যাপারটি হচ্ছে এই হায়াবুসা গাড়িটির শূন্য থেকে ৬০ কিলোমিটার গঠিত হতে গতি তুলতে পারে মাত্র ১.৯ সেকেন্ডে এবং শূন্য থেকে 90 পর্যন্ত গতি তুলতে পারে মাত্র ২.৩ সেকেন্ডে। আর এই বাইকের মূল্য ভারতে মোটামুটি ১৭ থেকে ১৮ লক্ষ রুপি।
MTT TURBINE SUPERBIKE Y2K
আমার মনে হয় না যে আপনারা এই বাইকের নাম এর আগে শুনেছেন। এই গাড়ির সবচেয়ে মজার বিষয়টি হচ্ছে গাড়িতে রোলসরয়েলস গাড়ির ইঞ্জিন ব্যবহার করা। হয়েছে আর এটা শুনে আপনি মোটামুটি ধারণা করতে পারছেন এটি কতটা শক্তিশালী।
এই ইঞ্জিনটি চব্বিশ হর্স পাওয়ার জেনারেট করতে পারে এবং গাড়িটির সম্পূর্ণ বডি অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। গাড়িটির বাইরের কাঠামো অনেক শক্ত। আর এলুমনিয়াম দিয়ে তৈরি করার কারনে ওজন মাত্র ২২৭ কেজি। এবং এই গাড়িটি সর্বোচ্চ গতি হচ্ছে ৩৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় যার বিষয়টি হচ্ছে গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড।
এই বাইকটি শক্তিশালী বাইকের লিস্টে আর এই বাইকের দাম শুনলে আপনার মাথায় হাত পড়ে। যাবে তো এই বাইকটির ভারতের মূল্য মোটামুটি 96 লক্ষ রুপি এবং আপনি ধারণা করতে পারছেন যে বাংলাদেশে গাড়িতে আনতে মোটামুটি কত টাকা খরচ হতে পারে।
KAWASAKI NINJA H2R
সুপার বাইক তৈরি করার ক্ষেত্রে কাওয়াসাকি কোম্পানি কত বিখ্যাত তা আপনারা নিজেরাই জানেন। এই গাড়িটির ডিজাইন এবং কালার দেখলে যে কেউ এই গাড়িটির পড়ে যাবে আর এই গাড়িটিতে মোটামুটি ৩১০ হর্স পাওয়ার এর ইঞ্জিন রয়েছে।
মজার ব্যাপারটি হচ্ছে কয়েকটি ২০১৬ সালের দিকে ২৬ সেকেন্ডে ৪০০ কিলোমিটার গতি তুলতে সক্ষম হয়েছিল আরে রেকর্ডটি তৈরি করা হয়েছিল টারকি দেশের একটি ব্রীজের ওপর। ভাইটি সর্বোচ্চ গতি হচ্ছে ৪০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। এবং এই গাড়িতে মোট ছয়টি গিয়ার রয়েছে।এই বাইকের ভারতে মূল্য ৭৫ লক্ষ রুপি।
DODGE TOMAHAWK
American automobile company এই বাইকটি তৈরি করেছিলেন যেটা কিনা পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগতির বাইক এই বাইকের ডিজাইন পৃথিবীর অন্য সব ভাইকে ডিজাইন থেকে একেবারেই ভিন্ন। আর আমার মনে হয় এই বাইকটি আপনারা অনেকেই মোবাইল কিনছে থাকা বিভিন্ন গেমে দেখেছেন। গাড়িতে রয়েছে ৫০০ হর্স পাওয়ার এর v10 SR T10 পাওয়ারের ইঞ্জিন।
লেখক এর মন্তব্য
সকালে ট্রাফিক আইন মেনে চলুন। সুন্দরভাবে জীবন যাপন করুন।আপনাকে যদি আমি উপযুক্ত তথ্য দিতে পারি তাহলে আপনি আপনার সকল বন্ধুদের সাথে এ বিষয়টি শেয়ার করবেন এবং ভালো লাগলে আমার ব্লগটি নিয়মিত ভিজিট করবেন।আপনাদের যদি আমার লিখা পড়ে ভালো লাগে তাহলে ইচ্ছা হলে আমার ব্লগটি নিয়মিত পরিদর্শন করবেন। সকলে ভালো থাকবেন ফি আমানিল্লাহ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url