বেশি বেশি ভিডিও গেম খেলার ফলে যা হয়।
যেই কথাটা এখন আমি বলব সেটা শুনে আপনার খারাপ অবশ্যই লাগবে।কিন্তু এই কথাটা তোমার নিজের জন্য জানা খুব প্রয়োজন।গেম তোমার জীবনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। কিন্তু তুমি আমাকে বলবে যে ভাই বেকার বকিস না,আমাদের শেখাস না। কিন্তু সত্যটি জানা তোমার খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি তোমাকে গেম এর কথা বলছি সেটা যে কোন গেম হতে পারে।
ভূমিকা
কম্পিউটার গেমঅথবা অ্যান্ড্রয়েড গেম দুটো ক্ষতিকর। কিছু উপকারিতা থাকে কিন্তু এখন আমরা গেমের অপকারিতা সম্পর্কে জানব। গেম খেলারও একটা নিয়ম থাকে যেটা থেকে তুমি তোমার জীবনে অনেক কিছু লাভ করতে পারবে।
যদি গেম কে তুমি তোমার দুনিয়া ভেবে নিয়েছো তাহলে সেটা তোমার জন্য ক্ষতিকর।আর যদি তুমি সেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলো তাহলে তুমি পড়ে যাবে। ডিমের ক্ষেত্রেও তাই যদি তুমি গেম লিমিট রেখে ফেল তাহলে সেটা তোমাকে সুবিধা দেবে।যদি তুমি তোমার বেশিরভাগ সময় গেমে দিচ্ছ তাহলে সেটা তোমাকে ক্ষতি করবে।
বিজ্ঞানিদের কথা
কানাডা মডেল ইউনিভারসিটির সাইনটিস্টরা এটা বলেছেন যে গেম তোমার ব্রেনে প্রচুর প্রভাব ফেলে। হিউমান ব্রেনে হিপো কম্পাস নামক একটি অংশ থাকে।যেটা থেকে অতীতের কোন জিনিস মনে করা হয়। বেশি গেম তোমার ব্রেনের হিপোক্যাম্পাসে গ্রেমিটাকে কম করে দেয়।
যেটা থেকে তোমার স্মরণ ক্ষমতা কমে যায়। আরো অনেক রিসার্চে এটাও জানা যায়, যে ট্রেনের হিপো কম্পাস কম হওয়ার কারণে ব্রেনে অনেক প্রকার রোগের সৃষ্টি হয়।গেম খেলার সময় তোমার ব্রেনের নিউরনের একটি কেমিক্যাল রিলিজ হতে শুরু করে। এবং সেই কেমিক্যাল এর নাম হলো ডোপামাইন কেমিকাল যখন তোমার ব্রেনে দোকামাইন কেমিক্যাল বের হতে থাকে।
গেম খেলার ফলে কি হয়
ভিতরের ইমোশনাল হ্যাপীনেসকে বাড়িয়ে দেয় যেটা থেকে তোমাকে কোন জিনিসের মজা আসতে শুরু করে। আরে ডকুমেন্ট কেমিক্যালের কারণেই তোমার গেম খেলতে খুব ভালো লাগে। তুমি তোমার বেশি সময় কিমে দিতে থাকো এবং সেটা তোমার শরীর ও পড়তে শুরু করে। আর তোমাকে প্রিপারলিস্ট অর্থাৎ একা থাকার অভ্যাস হয়ে যায়।
এবং ইনসুন্নিয়া অর্থাৎ ঘুম না আসার রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। যার ফলে তুমি রাত্রে উঠে গেম খেলতে শুরু কর আর যখন তোমার ঘুম সম্পন্ন হয় না।তোমার উপর শারীরিক এবং মানসিকভাবে প্রভাব পড়তে শুরু করে। সায়েন্টিফিকলি প্রমাণিত হয়ে গেছে একদিনে আট ঘন্টা ঘুমানো আবশ্যিক। যদি কোন কারণে ঘুম সম্পূর্ণ না হয় তোমার এই সমস্ত সমস্যা শুরু হয়ে যাবে।
গেম খেলার সময় ফকাস কোথাই থাকে
যখন তুমি তোমার পুরো ফোকাস গেমের উপর দিয়ে দাও তখন কনসেন্স মাইন্ড দুনিয়ায় হারিয়ে যায়।যে দুনিয়াকে তোমার রিয়েল লাইফ এর সাথে কানেক্ট করতে শুরু করো। গেমের দুনিয়া একটু কম্পিউটার দ্বারা তৈরি করা ভার্চুয়াল দুনিয়া হয়। যেটা রিয়াল হয় টা যেটা গেমের সম্ভব হয় সেটা রিয়েল লাইফে সম্ভব হয়না। প্রেমের ক্যারেক্টারের প্রভাব তোমার রিয়েল লাইফে পড়তে শুরু করে এবং প্রভাব আচরণ করতে শুরু কর যেটা গেমে থাকে । গেম জীবনকে শেষ করে দিতে পারে।
ঘুমানোর কতক্ষণ আগে গেম খেলা বন্ধ করে দেওয়া উচিত
বিজ্ঞানীদের মতে ঘুমানোর এক ঘন্টা আগে গেম খেলা বন্ধ করে দেওয়া উচিত ।কারণ বিজ্ঞানীদের মতে একজন মানুষ যখন কোন একটি বিষয় নিয়ে ভাবে বা দেখে তখন মানুষের চিন্তাটি পুরোটাই।চলে যায় এই ভাবনা চিন্তা কে ভাঙতে মানুষের প্রায় এখনমস্তিষ্ক উত্তেজনার উচ্চ স্থান এ একটি বিষয়কে ভুলতে মূলত এক ঘন্টা সময় লাগে। তাই ঘুমানোর এক ঘন্টা আগে গেম খেলা বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
লেখক এর মন্তব্যঃ
আপনাকে যদি আমি উপযুক্ত তথ্য দিতে পারি তাহলে আপনি আপনার সকল বন্ধুদের সাথে এ বিষয়টি শেয়ার করবেন এবং ভালো লাগলে আমার ব্লগটি নিয়মিত ভিজিট করবেন।আপনাদের যদি আমার লিখা পড়ে ভালো লাগে তাহলে ইচ্ছা হলে আমার ব্লগটি নিয়মিত পরিদর্শন করবেন। সকলে ভালো থাকবেন ফি আমানিল্লাহ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url