হযরত আদম (আঃ)এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
সৃষ্টি জগতের প্রথম মানব হযরত আদম আলাইহি সাল্লাম। তাকে মানবজাতির আদি পিতা বলা হয়। আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের বললেন আমি দুনিয়াতে প্রতিনিধি পাঠাবো। ফেরেশতারা অসম্মতি জানালেন।তার সত্বেও আল্লাহ তায়ালা আদমকে সৃষ্টি করলেন। এবং এক পরীক্ষার মাধ্যমে আদমকে ফেরেশতাদের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত করলেন।
অতঃপর ফেরেশতা সবাইকে আদমের চেষ্টা করতে আদেশ দেওয়া হয় সকলেই সে নির্দেশ মেনে নিলেও ইবলিশ অহংকারের বসে তা মেনে নিল না। যার ফলে চিরকালের জন্য ইবলিশ অভিশাপ্রাপ্ত হয়ে যায়। এই অভিশাপ প্রাপ্ত শয়তান আল্লাহর কাছে কিছু ক্ষমতা চেয়েছিল। যেমন মানুষের রগ তথা শিরায় শিরায় ঢুকে ধোঁকা দেওয়া, খারাপ কাজের জন্য উৎসাহিত অথবা প্ররোচিত করা।
আল্লাহ তায়ালা ইবলিশ কে এই ক্ষমতা প্রদান করেন। এরপর মানবজাতির বংশবিস্তারের জন্য আল্লাহ তায়ালা আদম আলাইহিওয়াসাল্লামের সঙ্গি হযরত হাওয়া আলাইহিসসাল্লামকে সৃষ্টি করলেন। আদম আলাইহিস সালামের পাঁজরের হাড় দিয়েই তিনি হাওয়াল ইসলামকে সৃষ্টি করলেন। এর মাধ্যমে মানুষের প্রতি নারীদের অনুগত্য প্রকাশ পায়।
এবার তাদের দুইজনকে জান্নাতে থাকতে বললেন। আল্লাহ তাআলা তাদের সাবধান করে বলে দিয়েছিলেন যে তারা জান্নাতে সব রকমের কাজ করবে সব জিনিস আহার করবে কিন্তু একটি গাছের নিকটে যেতে বারণ করলেন। ইবলিশ তাদের বিপদে ফেলার ফোন দিয়ে আটতে থাকলো।
একদিন ইবলিশ তাদের বলল আল্লাহ তোমাদের ওই গাছের নিচে যেতে কেন বারণ করেছে জানো? কারণ ওই গাছের ফল অনেক সুস্বাদু এইরকম আরো অনেক কথা বলে ইবলিশ তাদেরকে বিপদে ফেলতে সক্ষম হলো। তারা সম্মত হয়ে ঠিক করল যে ওই গাছের কাছে যাবে এবং ওই গাছের ফল আহার করবে।
তারা ওই ফল খাওয়ার সাথে সাথে তাদের শরীর থেকে জান্নাতের পোশাক সরে যেতে লাগলো। ইবলিশের প্রথম টার্গেট ছিল তাদের দেহ থেকে কাপড় খসে তাদের উলঙ্গ করে ফেলা। তাদের গুপ্ত অঙ্গ প্রদর্শিত হতে লাগলো। ওরি ধরি করে আদম হাওয়া গাছের পাতা দিয়ে লজ্জা নি বরণ করলেন।

তখন আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে ডেকে বললেন আমি কি এই বৃক্ষের কাছে যেতে তোমাদের নিষেধ করিনি। এবং বলিনি যে শয়তান তোমাদের প্রকর্ষ শত্রু। তখন তারা দুইজন মিলে আল্লাহ তাআলা কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা'আলা বললেন তোমরা ব্যস্ত থেকে নেমে যাও তোমাদের আশ্রয় হবে দুনিয়াতে। সেখানেই তোমরা একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত থাকবে।
পৃথিবীতে অবতরণের পর সর্বপ্রথম আদম আলাই সাল্লাম এর উপর যে ওহি গুলো নাযিল করা হয়েছিল তার মধ্যে অধিকাংশ ছিল তুমি আবাদ করা ঋষি কার্য শিল্প সংক্রান্ত বিষয়বস্তু। আদম আলাই সাল্লাম এর যুগে পৃথিবীর সর্বপ্রথম আবাদ ছিল তিন ফল। হযরত আদম এবং হযরত হাওয়া আলাইহিস সালামের অনেক সন্তান ছিল। ১৪০ জোড়ার কথা আমি শুনেছি।
কিন্তু তাদের মধ্যে তিনজনের নামই কোরআন শরীফে উল্লেখ আছে। হাবিল, কাবিল এবং শ্বেত। তাদের মধ্যে হাবিল এবং কাবিলের ঘটনা পবিত্র কুরআনে বর্ণিত রয়েছে। আদম আলাই সালাম এর বড় পুত্রের নাম ছিল কাবিল আর হাবিল ছোট পুত্র। তারা শত শত বছর ধরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আল্লাহ তায়ালা তাদের ক্ষমা করে দেন।
১০০০ বছর হায়াত দেওয়া হয়েছিল হযরত আদম আলাই সাল্লাম কে। তিনি দাউদ আলাই সাল্লাম এর সৌন্দর্যে মুখ দিয়ে হয়ে তিনি তার বয়স থেকে দাউদ আলাই সালামকে 40 বছর করেছিলেন। আর এই কারণেই হয় শত ষাট বছর জীবিত ছিলেন হযরত আদম আলাইহিস সালাম। তাকে সৃষ্টি করা হয়েছিল শুক্রবারে এবং তার মৃত্যুও হয় শুক্রবারে।

লেখক এর মন্তব্য

আপনাদের যদি আমার লেখা কনটেন্ট পড়ে ভালো লাগে। তাহলেআমার ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন। আপনাদের জন্য আমি আরো নতুন নতুন বিষয়গুলো তুলে ধরব আপনাদের সামনে। সবাই ভালো থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url