আম খাওয়ার ১৫ টি উপকারিতা
আম হলো একটি জনপ্রিয় ফল। এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল যারা আম পছন্দ করেন না। আমকে 'LOVE FRUT' ও বলা হয়। তাই আপনি আপনার প্রিয় মানুষকে উপহার হিসেবে আম দিতে পারেন।😉 আমরা কাঁচা বা পাকা যেভাবেই খায় না কেন তা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফাঁকা আমের তুলনায় কাঁচা আমের পুষ্টিমান বেশি থাকে। আম পাকা বা কাঁচা যেই হোক না কেন আম আমাদের শরীরের জন্য একটি উপকারী ফল।
আম খাওয়ার ১৫ টি উপকারিতা
- আম রক্তের ক্ষতিকার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। আমাদের হার্টবিট সচল রাখতে পাকা আম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও হার্টের রোগীদের জন্য টাকা আম একটি ঔষধের মতোকাজ করে থাকে।
- আমে প্রায় ২৫ ধরনের উপকারী ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা মানব দেহের মিউনি সিস্টেমকে সচল রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে শরীর স্বাভাবিক থাকে এবংপুরুষদের যৌন শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- আম ত্বকের বিভিন্ন চর্ম রোগ থেকে ত্বকে রক্ষা করে। যেমন ব্ল্যাকহেডস, ব্রোন, মেছতা ইত্যাদির মতো চর্মরোগ থেকে ত্বককে রক্ষা করে। আপনি যদি প্রতিদিন ১০০ গ্রাম পাকা আম তাহলে, আপনার মুখে থাকা যে কোনো কালো দাগ দূর হবে। এবং নিয়মিত আম খেলে এইসব দাগ আর পড়বে না।
- পাকা আম আমাদের ত্বক সুন্দর রাখে। আমাদের ত্বকের ভেতরে এবং বাইরে উভয় দিক থেকেই ত্বককে ভালো রাখে। আমাদের ত্বকে যে ছোট ছোট লোমকূপ রয়েছে আম সেগুলো পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে ওইসব লোমকূপ দিয়ে কোন প্রকার জীবাণু বা ময়লা শরীরে প্রবেশ করতে পারে না।
- আমাদের দেহের খয়রোধ করে। প্রতিদিন নিয়মিত আম খেলে তা আমাদের শরীরের স্থূলতা কমিয়ে শারীরিক অবস্থায় ও স্বাভাবিক স্বাস্থ্য পৌঁছাতে সাহায্য করে। ওজন কমাতে চাইলে আপনি কাঁচা আম খেতে পারেন। কেননা পাকা আমি সরকারার পরিমাণ বেশি থাকে, যার ফলে দ্রুত শরীরের ওজন কমে না।
- আমএ পর্যাপ্ত পরিমাণে কোন লবণ রয়েছে। যা আমাদের হাতের নখ, চুল এবং দাঁত শক্ত রাখতে সাহায্য করে। চুল ঝরে পড়া রোগীদের জন্য আম একটি ঔষধি গুণ হিসেবে কাজ করে।
- পাকা আমের রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যার ফলে পাকা আম হজমের সহায়তা করে। বদ হজম দূর করে এবং পেট পরিষ্কার রাখে। আম এ যেসব এনজাইম রয়েছে তা দেহের প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে। এর ফলে মানুষের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
- আমে হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ। ভিটামিন এ আমাদের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। আপনি প্রতিদিন একটি করে আম খেলে আপনার দেহে ভিটামিন এ শতকরা ২৫ ভাগ পূরণ হয়ে যাবে। যা আমাদের রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে।
- আমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। যার ফলে আমাদের দেহে বিভিন্ন স্নায়ুতে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরকে রাখে পুরোপুরি সতেজ। এর ফলে দ্রুত ঘুম আসতে সাহায্য করে। অনেকে ঘুমের ঔষধ হিসেবে আম খেয়ে থাকে।
- আমে আরেকটি ভিটামিন রয়েছে যা হলো ভিটামিন সি। পাকা আমের চেয়ে কাঁচা আমের ভিটামিন সি এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। দেহের হাড় গঠনে আম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- আমে বিভিন্ন ধরনের এসিড থাকে। যেমন টারটারিক অ্যাসিড, ম্যালেরিক এসিড সাকসেসিনিক এসিড ইত্যাদি যা আমাদের শরীরে ক্ষার ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং দেহের রক্ত পরিষ্কার রাখে।
- আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। স্তন ক্যান্সার ক্লোন ক্যান্সার এর মত বিপদজনক ক্যান্সার থেকে শরীরকে সুস্থ রাখে রক্ষা করে।
- আম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। কাঁচা আম মধু দিয়ে খেলে পেটে কষাভাব দূর হয়। তাছাড়াও আমে থাকা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন জ্বর সর্দি থেকে দেহকে রক্ষা করে।
- আম হলো গ্রীষ্মকালীন ফল। গরমের অস্থিরতার অতিরিক্ত গরম সহ্য না হলে আপনি আম খেতে পারেন। কারণ আম দেহকে শীতল রাখে।
- আমে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এছাড়াও কাজে মনোযোগ আনতে আম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও কোন চিন্তা ট্রেস ইত্যাদি থেকে আম দূরে রাখে।
আমে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ এবং ভিটামিন বি, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়াও আরো কিছু পুষ্টি উপাদান যেমন পটাশিয়াম, লৌহ, এমাইনো এসিড, বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। সব জিনিসেরই উপকারিতা এবং অপকারিতা দুটোই থাকে। তেমনি আম খাওয়ার পরে এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে আপনার শরীর খারাপ হতে পারে। আম খাওয়ার পরে সেই সব খাবার থেকে আপনারা সকলেই বিরত থাকবেন।
আম খাবার পর যে পাঁচটি খাবার ভুলেও খাবেন না
- আম খাবার পরে দই খাবেন না। মেডিকেল সাইন্স দ্বারা প্রমাণিত আম খাওয়ার পরে যদি কোন ব্যক্তি দই খায় তাহলে তার এলার্জির প্রবলেম হতে পারে। অনেকে এমন রয়েছে যারা দুধের সাথে আম খান। দুধের সাথে আম খাওয়া যাবে না এতে আপনার চর্ম রোগ হতে পারে।
- আম খাবার পরে করলা খাবেন না। মেডিকেল সাইন্স বলে আম খাবার পরে করোলা খেলে তার বমির সমস্যা দেখা দেয়। অল্পতেই তার বমি ভাব হয়, এর ফলে তার যে মানসিক অবস্থা তা আস্তে আস্তে খারাপ হয়ে যায়।
- আম খাওয়ার পরে পানি খাবেন না। শুধু আম কেন অন্য যে কোন ফল খাওয়ার পরে পানি খাওয়া যাবে না। এতে মানব দেহের অম্লের সমস্যা হতে পারে। আম খাওয়ার পর পানি খেলে গ্যাস এসিডিটির সমস্যা হতে পারে।
- আম খাওয়ার পরে ঝাল যুক্ত অথবা মসলাযুক্ত কোন খাবার খাওয়া যাবে না। আম খাওয়ার পরে ঝাল খেলে আপনার হজম শক্তির ক্ষমতা নষ্ট হতে পারে।
- আম খাবার পরে কোমল পানিও যেমন জুস, সেভেন আপ, কোকাকোলা ইত্যাদি খাবেন না। এতে আপনার ডায়াবেটিসের সমস্যা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কোন ফলে কী উপকার জেনে নিন এক নিমেষে
লেখক এর মন্তব্যঃ
অন্যান্য খাবারের চেয়ে ফলমলে বলে বেশি পরিমাণে পুষ্টিমান বিদ্যমান থাকে। কোন ফলে কি রকম পুষ্টিমান থাকে খাওয়ার আগে তা জেনে নেওয়া জরুরী। এবং কোন শরীরের জন্য ক্ষতিকর তাও জেনে রাখা প্রয়োজন। কিছু কিছু ফল রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী। এইসব ফল সম্পর্কে জানার জন্য উপরে দেওয়া এই লিংকে ক্লিক করুন।
আপনাকে যদি আমি উপযুক্ত তথ্য দিতে পারি তাহলে আপনি আপনার সকল বন্ধুদের সাথে এ বিষয়টি শেয়ার করবেন এবং ভালো লাগলে আমার ব্লগটি নিয়মিত ভিজিট করবেন।আপনাদের যদি আমার লিখা পড়ে ভালো লাগে তাহলে ইচ্ছা হলে আমার ব্লগটি নিয়মিত পরিদর্শন করবেন। সকলে ভালো থাকবেন ফি আমানিল্লাহ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url